30%

সীরাতুন্নবী (সাঃ) স্ট্র্যাটেজিক্যাল এন্ড পলিটিক্যাল স্টাডি

Printed Price: TK. 580
Sell Price: TK. 406
30% Discount, Save Money 174 TK.
Summary: ইতিহাস বিভিন্ন সভ্যতা ও জাতির অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের জীবনী দ্বারা পরিপূর্ণ যাঁরা পুন:পুন বিশ্ব মানচিত্রের নকশা বদলেছেন, সে সাথে বদলেছেন সমরকৌশল শক্তির ভারসাম্যও। এই ব্যক্তিত্বদের তালিকায় আছেন বিভিন্ন স¤্রাট, দিগি¦জয়ী, নেতা Read More...
দ্রুত ডেলিভারি
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৩দিন ইজি রিটার্ন

Book Details

Titleসীরাতুন্নবী (সাঃ) স্ট্র্যাটেজিক্যাল এন্ড পলিটিক্যাল স্টাডি
Authorওয়াদ্দাহ খানফার
Publisherবিন্দু প্রকাশ
Category
ISBN978-984-94670-4-5
Edition1st Published, 2021
Number Of Page484
Countryবাংলাদেশ
Languageবাংলা
Cover Typeহার্ড কভার

Book Description

ইতিহাস বিভিন্ন সভ্যতা ও জাতির অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের জীবনী দ্বারা পরিপূর্ণ যাঁরা পুন:পুন বিশ্ব মানচিত্রের নকশা বদলেছেন, সে সাথে বদলেছেন সমরকৌশল শক্তির ভারসাম্যও। এই ব্যক্তিত্বদের তালিকায় আছেন বিভিন্ন স¤্রাট, দিগি¦জয়ী, নেতা ও বিপ্লবীগণ। তাঁদের একই কাতারে এনে দিয়েছে তাঁদের অভিন্ন বৈশিষ্ট্যসমূহ, যদিও তাঁদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তাঁদের পৃথক করেছে। ইতিহাস তাঁদেরকে অবিস্মরণীয় করে রেখেছে কারণ তাঁদের কর্মযজ্ঞ জাতিসমূহের, কখনো কখনো বৈশ্বিক বাস্তবতাকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। সাধারণত, এই ব্যতিক্রমধর্মী ব্যক্তিত্বগণ তাঁদের স্বজাতির জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রতীকি স্থান দখল করে থাকেন। তাঁরা তাঁদের স্বজাতির জাতীয় পরিচিতি ও অভিন্ন ঐতিহ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বক্তব্যে তাঁদের জীবনী স্মরণ করা হয়। তাঁদের ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। তাঁদের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হয়। জাতীয় প্রোগ্রামসমূহে তাঁদের জীবনী শেখানো হয়। এসবই এই কারণে যে, জাতিসমূহের সবসময়ই নিজেকে সংজ্ঞায়িত করার প্রয়োজন হয় এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব ব্যক্তিত্বদের প্রতীক জাতীয় সংজ্ঞায়নের একটি গুরত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। আমি যখন এই লেখাটি লিখছি, একইসাথে আমি গ্রীস এবং মেসিডোনিয়ার মধ্যকার চলা সঙ্কটকেও পর্যবেক্ষণ করছি। ইতিহাস নিয়ে চলা একটি বিতর্ক রাজনৈতিক সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। এই বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন স¤্রাট আলেক্সান্ডার, যিনি মেসিডোনিয়া থেকে উদ্ভূত। কিন্তু তাঁকে নিয়ে গ্রীকরা গর্ব করে এবং তাঁকে গ্রীসের জাতীয় অস্তিত্বের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করে। অন্য কোনো রাষ্ট্র আলেক্সান্ডারকে নিজেদের বলে দাবী করবে তা বরদাশত করতে রাজি নয় গ্রীকরা। মেসিডোনিয়া বর্তমান মানচিত্রানুসারে উত্তর গ্রীসে পড়েছে। যুগোশ্লাভিয়ার ভেঙ্গে পড়ার পর গণপ্রজাতন্ত্রী মেসিডোনিয়া এ নামেই নিজেদের স্বাধীনতা ঘোষণা করে। কিন্তু তা ঐতিহাসিক মেসিডোনিয়া নয় বরং এর একটি ছোট অংশ মাত্র। এজন্যই গণপ্রজাতন্ত্রী মেসিডোনিয়ার এই নামকরণকে গ্রীস তাদের নিজেদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের চুরি বলে সাব্যস্ত করে, যার অগ্রভাগে আছে গ্রীসের সবচেয়ে বড় জাতীয় প্রতীক, আলেকজান্ডার। অন্যদিকে মেসিডোনিয়া আলেকজান্ডারকে নিজেদের ঐতিহ্যের অংশ বলে দাবী করে এবং রাজধানী স্কোপিয়ার মধ্যে তাঁর নামে একটি বিশাল অংশের নামকরণ করে। এর ফলে গ্রীস প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। গ্রীসের পার্লামেন্ট একটি আইন পাশ করে যার মাধ্যমে মেসিডোনিয়ার পাসপোর্টকে স্বীকৃতি দেওয়া বন্ধ করা হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত মেসিডোনিয়া তার নাম পরিবর্তন করে। গ্রীস ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটো জোটে মেসিডোনিয়ার যোগদানের বিরোধিতা করে। এই ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক সংকটের অবসান ঘটে যখন দু পক্ষ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতায় একটি বিদ্যমান সংকট সমাধানের পথ বের করে আর সেটা হচ্ছে মেসিডোনিয়ার নাম পরিবর্তন গণপ্রজাতন্ত্রী উত্তর মেসিডোনিয়া রাখা। প্রতিটি জাতির নিজেদের জাতীয় পরিচিতিকে একটি স্থিতিশীল কাঠামো দান করার জন্য ঐতিহাসিক ও অসাধারণ প্রতীকির প্রয়োজন পড়ে এবং অন্য জাতি যদি সেই প্রতীকের ওপর ঐতিহাসিক আধিপত্যে শরীকানা নিতে আসে তবে তারা বিক্ষুব্ধ হয়। এজন্য আমরা অনেক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব খুঁজে পাই যারা বিভিন্ন জাতির পরিচয়ে পরিচিত : দারিয়ুস ইরানী, আলেক্সান্ডার মেসিডোনী, জুলিয়াস সিজার রোমানী, জাস্টিনিয়ান বাইজেন্টাইনী ইত্যাদি। এই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সামরিক অর্জনের ফলে ইতিহাসে তাঁদের স্থান পাকাপোক্ত হওয়া। এটা ঠিক যে, এদের কারো কারো অর্জন স্থাপত্য, আইনপ্রণয়ন, অর্থনীতি এসব ক্ষেত্রে, কিন্তু সেগুলো সামরিক বিজয় তাদের ক্ষমতা ও অবস্থানকে পাকাপোক্ত করার জন্য যে বৈধতা ও প্রয়োজনীয় সম্পদ প্রয়োজন ছিল তা এনে দেওয়ার পরই সম্ভব হয়েছিল। ইতিহাসের বেশিরভাগ স্ট্র্যাটেজিগত পরিবর্তন এসেছে ক্ষমতা ও সম্পদের জন্য লড়াইয়ের ফলে; ইতিহাসের বড় বড় অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের জীবনিতে আমরা এমনটাই দেখতে পাই। দারিয়াস প্রথম, যিনি দারিয়াস দা গ্রেট১ নামেও পরিচিত ছিলেন, ইরানের আখিমেনীয় সা¤্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ স¤্রাট ছিলেন। তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপত্য ও প্রাতিষ্ঠানিক কর্মের স্বাক্ষর রাখেন কিন্তু তাঁর শাসনকালের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য মিশর, এথেন্স, মেসিডোনিয়া এবং মধ্য এশিয়ার বিরুদ্ধে তাঁর যুদ্ধ এবং বিজয়। আর আলেক্সান্ডার দা গ্রেট২ মাত্র ত্রিশ বছর বয়সেই সবচেয়ে বড় সা¤্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, যা প্রাচীন যুগের সবচেয়ে বড় সা¤্রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। আলেকজান্ডারের এই অর্জন সম্ভব হয়েছিল তাঁর যুদ্ধময় জীবন কেটেছিল ইরান, ভারত, মধ্য এশিয়া এবং মিশর বিজয়ে। আর জুলিয়াস সিজারের৩ অবস্থান তো গল অঞ্চলে বিশাল জয় এবং রোমান সা¤্রাজ্যের সীমানা বাড়ানোর আগে পাকাপোক্তই হয়নি; যা তাঁকে তাঁর শর্তগুলোকে রোমের প্রভাবশালীদের সমাবেশের সামনে শক্তিমত্তার সাথে উপস্থাপন করতে এবং নিজেকে রোমান প্রজাতন্ত্রের ওপর ডিক্টেটর হিসেবে চাপিয়ে দিতে সক্ষম করে তোলে। তাঁর হত্যাকাÐের পর এই ডিক্টেটরশীপ প্রজাতন্ত্র যুগের অবসান ঘটায় এবং রোমান সা¤্রাজ্যের উত্থান ঘটায়। স¤্রাট জাস্টিনিয়ান প্রথম৪, যিনি জাস্টিনিয়ান দা গ্রেট হিসেবেও পরিচিত ছিলেন, বিভিন্ন সামরিক সংঘর্ষের ধারাবাহিকতায় বাইজেন্টাইন সা¤্রাজ্যের কব্জায় থাকা শেষ অঞ্চলটুকুকে প্রসারিত করেন এবং রোম ও পশ্চিম রোমান সা¤্রাজ্যের বেশিরভাগ অঞ্চল যা জার্মানদের আক্রমণে হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল সেগুলোর ওপর সা¤্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে আনেন। তিনি ৫৩ সালে কন্সটান্টাইনের একটি গণঅভ্যুথানকেও রোধ করেন, এতে হতাহতের শিকার হয় ৩০ হাজার জনগণ। বাইজেন্টাইন সা¤্রাজ্য গুরুত্বপূর্ণ আইনী সংস্কারগুলোর পিছে তাঁর অবদান। এই চারজন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের আলোচনায় যে ব্যাপারটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবী রাখে তা হচ্ছে, তাঁরা সত্যি সত্যিই স্ট্র্যাটেজিকের দিক দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রকে বদলে দিয়েছেন এবং শক্তির ভারসাম্যে পরিবর্তন এনেছেন। একাজে তারা সবাই অভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন আর তা হচ্ছে :কোনো নির্দিষ্ট জাতি বা সীমিত সা¤্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত থেকে সামরিক কার্যক্রম ব্যবহার করে ক্ষমতার পাকাপোক্তকরণ এবং সম্পদের বর্ধিতকরণ। স্ট্র্যাটেজিগত ক্ষেত্রে তো রাসূলুল্লাহ (সা)মুহাম্মদ (সা) খুব কম সময়ের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আমূল স্ট্র্যাটেজিগত বিপ্লব নিয়ে আসেই, কিন্তু তিনি সেসব ব্যক্তিত্ব থেকে প্রকৃতিগতভাবেই ভিন্ন ছিলেন, যাঁদের কথা আমরা ইতোপূর্বে বলেছি। তাঁর স্ট্র্যাটেজিগত প্রণালী না ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে শুরু হয়েছে আর না ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করার আকাঙ্খা থেকে। তাঁর কাজ কোনো জাতীয়তাবাদী বিন্দু বা সা¤্রাজ্যবাদী খাহেশ থেকে সূচনা হয় নি। আর এখানেই রাসূলুল্লাহর(সা) কার্যক্রমের স্ট্র্যাটেজিগত স্বাতন্ত্র্য লুকিয়ে আছে। পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে আমরা রাসূলুল্লাহ (সা)-এর মক্কা বিজয় পর্যন্ত তাঁর স্ট্র্যাটেজিগত কার্যক্রমের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে তাঁর স্ট্র্যাটেজিগত প্রণালী নিরীক্ষা করে দেখবো। এই স্ট্র্যাটেজিগত কার্যক্রম বলতে আমরা এমন প্রতিটি কাজ ও কথাকে বুঝাচ্ছি যা বিভিন্ন গোত্রীয় শক্তি ও বিভিন্ন ব্যক্তির সাপেক্ষে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন যোগাযোগ, চিঠিপত্র, সন্ধি, ছোট ও বড় সামরিক অভিযান, মদীনা এবং বিভিন্ন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে সম্পর্ক, বিভিন্ন গোত্রের সাপেক্ষে সন্ধি ও দ্বন্দমূলক অবস্থান, রাসূলুল্লাহ (সা) বা তাঁর সাহাবীদের কারো থেকে প্রকাশিতকোনো তথ্যমূলক বক্তব্য, সেটা রাসূলুল্লাহর (সা) সরাসরি কথাই হোক বা তাঁর চিঠিপত্রের বিষয়বস্তু হোক কিংবা তাঁরকোনো সেনাধিনায়ক থেকে প্রকাশিত কোনো কথা হোক অথবা কোনো ব্যাপারে মদীনার অবস্থানের ব্যাপারে হাসসান বিন সাবিত, আবদুল্লাহ বিন রাওয়াহা, কাব বিন মালিকদের (রা) মত কবিদের থেকে প্রকাশিতকোনো অভিব্যক্তি। আমরা মক্কার স্ট্র্যাটেজিগত বৈশিষ্ট্যের বিবরণ দিয়ে শুরু করবো। আমরা এর অবস্থান, রাজনীতি ও অর্থনীতির দিকে দৃষ্টিপাত করবো। এরপর আমরা বিভিন্ন সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য মক্কার করা সন্ধিচুক্তি, এর গোত্রীয় বিন্যাস ও গৃহযুদ্ধ নিয়েও আলোচনা করবো। এরপর আমরা মক্কার চারপাশের জগতের স্ট্র্যাটেজিগত এবং অর্থনৈতিক নকশা নিয়ে আলোচনা করবো এবং নবুয়তী পর্ব শুরুর আগে আগে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা করবো। এরপর আমরা ষষ্ঠ শতাব্দীর শেষ অংশে আরব উপদ্বীপের বাস্তবতা এবং এর সামাজিক ও ধর্মীয় বিন্যাস নিয়ে আলোচনা করবো। এর পর আমরা নবুওয়াতপ্রাপ্তির শুরুর বছরগুলোতে এবং ইয়াসরিবে পৌঁছা পর্যন্ত রাসূলুল্লাহর (সা) সাহায্যকারী শক্তির সন্ধান করার মধ্যে তাঁর স্ট্র্যাটেজিগত প্রণালীর গোড়াপত্তন অনুসন্ধান করবো। আমরা দেখবো কিভাবে আভ্যন্তরীন দ্বন্দে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন একটি জনপদে একটি সুগঠিত শাসনব্যবস্থা, কর্মোদ্যোগ ও দু:সাহসিক স্ট্র্যাটেজিগত ভিশন গড়ে উঠলো। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই তা এমন চুক্তিসমষ্টিতে প্রবেশ করলো যা দিয়ে তা মক্কার চুক্তিসমষ্টির সাথে পাল্লা দিতে পারতো। এরপর আমরা প্রথমে তাত্তি¡কভাবে এবং এরপর ব্যবহারিক দিক দিয়ে দেখাবো, সামরিক মোকাবেলা, রাজনৈতিক সন্ধি এবং এ প্রতিযোগিতা যথাযথ মোকাবেলার জন্য সঙ্গীদের মনস্তত্ত¡ গড়ে তোলার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর (সা) স্ট্র্যাটেজি কিভাবে স্বতন্ত্র ছিল; কিভাবে তিনি সুস্পষ্ট অগ্রাধিকার নির্ধারণ, সামগ্রিক ও সুবিন্যস্ত পদ্ধতি অনুসরণ, শক্তির ভারসাম্যের সূ²বিচার এবং উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পর্যালোচনার গুণে ছিলেন অনন্য। আমরা দেখবো কিভাবে রাসূলুল্লাহর (সা) সকল গতি ও স্থিতির কার্যকর কেন্দ্রবিন্দু ছিল তাঁর রিসালাত। এই রিসালাতই স্ট্র্যাটেজিগত ও রাজনৈতিক বাস্তবতার সাথে মিথষ্ক্রিয়ার ক্ষেত্রে পূর্বাপরদের থেকে ভিন্ন কর্মপদ্ধতি সৃষ্টি করেছে। আর এই স্বতন্ত্র কর্মপদ্ধতিই সংঘাত, বিভাজন ও লক্ষ্যহীনতা থেকে পৃথক থেকে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছেন। এই রিসালাত এসেছে এক নতুন ইসলামী সার্বজনীনতা নিয়ে; মানুষের স্বাধীনতা এবং স্বৈরাচার ও একাধিপত্যের শৃঙ্খল ভাঙ্গার নতুন যুগ নিয়ে। বর্তমান পৃথিবী অনেক বড় বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানবজীবনের বিভিন্ন পরিসর প্রসারিত হচ্ছে, যার অগ্রভাগে আছে রাজনৈতিক ও স্ট্র্যাটেজিগত পরিবর্তন। আমরা সবাই যখন আমাদের আকাঙ্খিত ভবিষ্যতের বৈশিষ্ট্যসমূহ এবং শান্তিপূর্ণ পৃথিবী নিয়ে আসবে এমন একটি কর্মপদ্ধতির তালাশ করছি, আপনাদের সামনে আমি আমার এই লেখা উপস্থাপন করছি। রাসূলুল্লাহর (সা) জীবনীর ওপর রাজনৈতিক ও স্ট্র্যাটেজিগত পরিপ্রেক্ষিত থেকে গভীর চিন্তার ফল এই লেখা। এটি বিনীত একটি সূচনা। আমি আশা করি, গবেষক ও আগ্রহী পাঠকগণ এই লেখা সাদরে গ্রহণ করবেন এবং এ কাজকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন।

Reviews

There are no reviews yet.


Be the first to review “সীরাতুন্নবী (সাঃ) স্ট্র্যাটেজিক্যাল এন্ড পলিটিক্যাল স্টাডি”

সীরাতুন্নবী (সাঃ) স্ট্র্যাটেজিক্যাল এন্ড পলিটিক্যাল স্টাডি
Sell Price: TK. 406
TK. 580, 30% Discount, Save Money 174 TK.
You've just added this product to the cart: