20%

শতাব্দীর মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান

Printed Price: TK. 400
Sell Price: TK. 320
20% Discount, Save Money 80 TK.
Summary: ভুবনবিখ্যাত মানুষদের ইচ্ছে করলেও কাছে থেকে দেখা যায় না। তাঁদের আদর্শ আর নানা কার্যক্রমের মাঝেই চিনে নিতে হয়। ভুবনবিখ্যাত বা বিশ্ব স্বীকৃত যে ক’জন মানুষ আছেন তাঁদের একজন বাঙালি জাতির জনক, Read More...
দ্রুত ডেলিভারি
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৩দিন ইজি রিটার্ন

Book Details

Titleশতাব্দীর মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান
Authorমিজানুর রহমান মিজান
Publisherহাওলাদার প্রকাশনী
Category
ISBN9789848966853
Edition1st Published, 2020
Number Of Page256
Countryবাংলাদেশ
Languageবাংলা
Cover Typeহার্ড কভার

Book Description

ভুবনবিখ্যাত মানুষদের ইচ্ছে করলেও কাছে থেকে দেখা যায় না। তাঁদের আদর্শ আর নানা কার্যক্রমের মাঝেই চিনে নিতে হয়।  ভুবনবিখ্যাত বা বিশ্ব স্বীকৃত যে ক’জন মানুষ আছেন তাঁদের একজন বাঙালি জাতির জনক, স্বাধীনতার স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সেরা বাঙালি, বাংলাদেশ নামক স্বাধীন কাব্যের কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একাত্তরের ৭ মার্চে যার আহবানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি মুক্তিযুদ্ধ করেছে, সেই মানুষটিকে আমরা হারিয়েছি পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। এতে জাতির ইতিহাসেই নয় বিশ্বব্যাপী একটি কলংকিত অধ্যায়ের সূচনা হয়। এই মহান মানুষটিকে আজকের প্রতিটি তরুণের কাছে পরিচয় করিয়ে দেওয়াটা সকলের দায়িত্ব ও কর্তব্য। তরুন প্রজন্মের প্রতিনিধি হিসেবে একটি কথা বলতে বাধ্য হচ্ছি যে, যে কোনো রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের নেতার সাথে জাতির জনকের তুলনা করা উচিত হবে না। তাঁর অবস্থান অনৈক্যের উর্ধ্বে। তাঁর তুলনা কেবল তাঁর সাথেই করা যাবে, অন্য কারো সাথে নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম এই সবুজ শ্যামলে ঘেরা বাংলাদেশেই। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ নিভৃত পল্ল¬ীর ছায়াঢাকা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভুমি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। সোনালি এক সন্ধ্যায় শেখ পরিবারের প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে উঠেছিল একটি শিশুর জন্ম উপলক্ষে। জন্মলগ্নে মা-বাবা ও আত্মীয়-স্বজন খুশি হয়ে শিশুটিকে ‘খোকা’ বলেই ডাকতেন। আজ যাকে নিয়ে লিখছি তিনিই সেই খোকা থেকে হয়ে উঠলেন একজন জননন্দিত ও অবিসংবাদিত নেতা। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। বাঙালি জাতির কাছে বঙ্গবন্ধু এবং হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি। জাতির কাছে তিনি পিতা। কিন্তু বিশ্বের কাছে হয়েছেন তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৮তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। বাঙালি জাতির প্রাণপুরুষ ও কিংবদন্তি মহানায়ক এই মহান নেতার প্রতি বিশ্বের সকল বাঙালি তরুণদের একজন হিসেবে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি। সাথে সাথে জাতির জনকের সহচরসহ সকল প্রবীণদের প্রতি একটি বিশেষ অনুরোধ করছি- জাতির জনক সম্পর্কে দেশ ও দেশের বাইরের সকল তরুণদের কাছে সঠিক তথ্য ও ইতিহাস তুলে ধরুন। আজকের তরুণদের গড়ে তুলতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায়। এ ক্ষেত্রে জাতির জনকের আদর্শের কোনা বিকল্প নেই। এ প্রজন্মের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলতে পারি যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির চেতনার এক অনির্বাণ শিখা। তিনি ছিলেন আমাদের মুক্তি সংগ্রামের দিশারী। তাঁর সফল চিমত্মা চেতনা সর্বোপরি সময়পোযোগী ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে আহবানের ফসল একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। লাল সবুজের একটি পতাকা। পৃথিবী নামক গ্রহটিতে বাংলাদেশ নামে বাঙালি জাতির নিজস্ব পরিচয় ও ঠিকানা। সংগ্রামী এ মহান নেতা সম্পর্কে সংক্ষিপ্তভাবে কিছু লেখা সত্যিই কঠিন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সংগ্রামী জীবন, সাহস, নেতৃত্ব, ত্যাগ ও মানবিক গুণাবলি লিখে শেষ করা যাবে না। তিনি ছিলেন সমগ্র বিশ্বের শোষিত-বঞ্চিত মানুষের মুক্তির কণ্ঠস্বর, এক অনন্য নেতা ও রাজনীতিবিদ। উল্লেখ্য যে, বিখ্যাত পত্রিকা ‘নিউজ উইক’ বঙ্গবন্ধুকে এক অনন্য ‘সুপারম্যান’ এবং ‘রাজনীতির কবি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির দর্শন ছিল অনন্য। তিনি বাঙালির নাড়ির স্পন্দন, আবেগ ও আকাঙ্ক্ষা সঠিকভাবে বুঝতে পারতেন। আজ যারা তরুণ বা একাত্তর পরবর্তীতে যাদের জন্ম তাদের প্রত্যেকের জানা উচিত যে, পাকিস্তান জন্মের পরপরই ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু ও তার সহযোগী রাজনীতিবিদ তাজউদ্দিন আহমদ, শামসুল হক, মোহাম্মদ তোয়াহা প্রমুখদের নিয়ে ‘গণতান্ত্রিক যুব লীগ’ গঠন করেন। প্রকৃতপক্ষে, পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার সূচনাতেই গণতান্ত্রিক যুব লীগের জন্ম ছিল তৎকালীন পূর্ব বাংলায় আন্দোলনের গুণগত রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত মাত্র। যদিও পরবর্তীতে তাত্ত্বিকতা ও বাস্তবতার মধ্যে সুষ্ঠু সমন্বয় না থাকায় সংগঠনটি খুব বেশি অগ্রসর হতে পারেনি, তখনও বঙ্গবন্ধু যথাযথভাবে মূল্যায়ন করে বলেছিলেন, ‘দেশের মানুষকে না গড়ে, দেশের মানুষকে মবিলাইজড না করে পরিষ্কার আদর্শ নিয়ে চলা যায় না।’ তার এ উপলব্ধি পরে বাঙালির আকাঙ্ক্ষার ও মুক্তি সংগ্রামের দিশারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। রাজনীতির সব পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হয়েছিলেন অসাধারণভাবে। ফলে বাঙালি জাতিও তাঁকে ভূষিত করল ‘বঙ্গবন্ধু’ হিসেবে। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ অর্জন একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ। তাই তিনি বাঙালি জাতির জনক। ৩০ লাখ শহীদ ও দু’লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই তিনি দৃপ্তকণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। যতদিন একজন বাঙালি বেঁচে থাকবে, ততদিন তারা অর্জিত স্বাধীনতাকে বিপন্ন হতে দেবে না। বাঙালিকে পরাধীন রাখতে পারে এমন কোন শক্তি পৃথিবীতে আর নাই।’ বলেছিলেন, ‘স্বাধীনতা মানে একটি নিজস্ব পতাকা মাত্র নহে। জনগণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ স্বাধীনতার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।’ তিনি চেয়েছিলেন বাঙালি জাতিকে একটি আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে। তার এ স্বপ্ন ধ্বনিত হয় তারই কণ্ঠে- ‘বিদেশী ঋণের ওপর নির্ভর করে কোন দেশ কখনও আত্মমর্যাদাপূর্ণ ও মহান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে না।’ তিনি শুধু রাজনীতির সফল নায়ক নন, তিনি ছিলেন এক বিশাল হূদয়ের মহান মানুষ। ১৯৭৩ সালে জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে কিউবার সমাজতান্ত্রিক নেতা ফিদেল ক্যাস্ট্রো বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় কখনও দেখিনি। আমি শেখ মুজিবকে দেখেছি। সাহস ও ব্যক্তিত্বে এ মানুষটি হিমালয়ের মতোই উঁচু।’ বঙ্গবন্ধু তার ব্যক্তিত্ব ও স্বদেশ প্রেম দ্বারা বিশ্বসভায় বাঙালিকে অত্যন্ত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে ব্রিটিশ মানবতাবাদী আন্দোলনের অগ্রনায়ক লর্ড ফেন্নার ব্রোকওয়ে মন্তব্য করেছিলেন, ‘নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু আমেরিকার জর্জ ওয়াশিংটন, ভারতের মহাত্মা গান্ধী ও আয়ারল্যান্ডের জর্জ ডি ভেলেরা’র চাইতেও মহান ও অনন্য।’ তিনিই একমাত্র নেতা যিনি একইসঙ্গে একটি স্বাধীন জাতি ও স্বাধীন ভূমির জনক। শুধু তাই নয় এই ভুবনবিখ্যাত মানুষটিকে নিয়ে বিখ্যাত ব্যক্তিদের অজস্র মন্তব্য আর উক্তি রযেছে। যা এই লেখায় লিপিবদ্ধ করতে পারলে তরুণদের জন্য বাড়তি খোরাক হতো। কিন্তু ইচ্ছে করলেও স্বল্প পরিসরে লেখা সম্ভব নয়। তারপরও যা উল্লেখ করা একান্ত আবশ্যক- ১৯৭২ সালে সুমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে প্রথম দেখার পরে হারুনুর রশীদ খানকে বলেছিলেন, ‘হারুন আমার সাংবাদিকতা জীবনে বহু বড় বড় রাষ্ট্রনায়কের দেখা পেয়েছি। ব্রেজনেভ, নিক্সন, হ্যারন্ড উইলসন, এডওয়ার্ড-হিথ, ক্যাস্ট্রো, শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী, ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো এত বড় নেতা, গোটা বিশ্বে যার নাম অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয়, তিনি এতো সহজ, সরল, বিশাল হূদয়ের মানুষ আমি ভাবতেই পারিনি। সত্যিই তিনি তোমাদের জাতির পিতা। তিনি শতাব্দীর মহানায়ক।’ দীর্ঘ ৯ মাসের সশস্ত্র সংগ্রামের ফলে অর্জিত স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ ছিল অর্থনৈতিকভাবে পুরোপুরি বিধ্বস্ত একটি ভূখন্ড। স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে দেশীয় আল-বদর ও আল-সামশ বাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদাররা দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যার মাধ্যমে বাঙালি জাতির চিন্তাকোষে বিশাল শূন্যতার সৃষ্টি করে। এমনি একটি পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বাঙালি জাতি যখন অগ্রসর হচ্ছে, ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক ও দেশীয় কুচক্রী মহল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতের অন্ধকারে অত্যন্ত নৃশংসভাবে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে ১৫ আগস্টের চেয়ে ঘৃণ্যতম ও কলংকজনক দিন আর নেই। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামে বিরোধিতাকরীদের বিচার শুরু হয়েছে। বিচারের রায়ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এভাবেই জাতির জনকের সোনার বাংলা এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব দরবারে। এ মুহূর্তে অনতিবিলম্বে সব যুদ্ধাপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক বিচার সম্পন্ন হোক, এটাই জাতীয় শোক দিবসে তরুণ প্রজন্মের একমাত্র দাবি। বাঙালি জাতি স্বাধীন ইতিহাসের পাতা থেকে কলংকিত এ নামগুলোকে মুছে ফেলতে আজ বদ্ধপরিকর। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী চেতনা ও আদর্শ পূরণে বর্তমান প্রজন্মকে কাজে লাগাতে হবে। কেননা আজকের তরুণই হবে আগামীতে জাতির কর্ণধার। আর তরুণরাই সম্মিলিতভাবে জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা সংস্কৃতি ও সভ্যতা থাকবে, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা বহমান থাকবে, যতদিন জাতি হিসেবে বাঙালির পরিচয় থাকবে ততদিন এ দেশের প্রতিটি মানুষের হূদয়ে জাতির জনক চিরঞ্জীব, চির অম্লান, বাঙালি চেতনায় অনির্বাণ শিখা হিসেবে প্রজ্বলিত হয়ে থাকবেন। এ ছাড়াও তারুণ্য শ্রদ্ধায় শতাব্দীর মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জেগে থাকবেন সবুজ শ্যামলে ঘেরা তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলায়। জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়নে আজকের প্রতিটি তরুণের কণ্ঠে উচ্চারিত হোক- এই পৃথিবীর সকল শক্তি আছে জমা যত / সামনে এলেও হবে না যে আমার মাথা নত। / জেল জুলুম আর অত্যাচারে হয় যদি গা ক্ষত / আমার নীতি থাকবে অটল আঘাত আসুক শত। / জীবন আমার অতীত হবে চলবে নীতি শত / আমি হবো জাতির জনক শেখ মুজিবের মত।

1 review for শতাব্দীর মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান

  1. Luthfor

    5 out of 5

    good


Add a review

শতাব্দীর মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান
Sell Price: TK. 320
TK. 400, 20% Discount, Save Money 80 TK.
You've just added this product to the cart: