25%

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার

Printed Price: TK. 200
Sell Price: TK. 150
25% Discount, Save Money 50 TK.
Summary: রোমাঞ্চ, বিষাদ ও চরম নাটকীয়তার গল্প মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ ও সাইফ নামে দুই দুঃসম্পর্কের চাচাতো ভাইয়ের গল্প। সাজিদ কষ্টে সৃষ্টে ডিপ্লোমা পাশ করে একটি ওয়ার্কশপ খুলে নিজের পায়ে Read More...
দ্রুত ডেলিভারি
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৩দিন ইজি রিটার্ন

Book Details

Titleমেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
Authorতন্ময় সাত্ত্বিক
Publisherআজকাল প্রকাশনী
Category
ISBN9789845690362
Edition2nd Published, 2020
Number Of Page80
Countryবাংলাদেশ
Languageবাংলা

Book Description

রোমাঞ্চ, বিষাদ ও চরম নাটকীয়তার গল্প মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সাজিদ ও সাইফ নামে দুই দুঃসম্পর্কের চাচাতো ভাইয়ের গল্প। সাজিদ কষ্টে সৃষ্টে ডিপ্লোমা পাশ করে একটি ওয়ার্কশপ খুলে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। সাজিদের বাবা সরকারি প্রকৌশলী ছিলেন। অল্প বয়সে মারা গেলেও সন্তানের জন্য যথেষ্ঠ রেখে গিয়েছিলেন। অথচ সাজিদকে নিয়ে মায়ের অনেক স্বপ্ন থাকলেও সে তার কিছুই পূরণ করতে পারে না। তবে তার বিশ্বাস, চাকরি দিয়ে বড় হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং যোগ্যতা অনুসারে স্বাধীন ব্যবসা বড় চাকরির চেয়েও ঢের ভালো। তাই সে একটা মেকানিক্যাল ওয়ার্কশপ খোলে ঝিনাইদহ শহরে। অন্যদিকে, সাজিদের চেয়ে দুই বছরের ছোট সাইফ। উকিল বাবার ছেলে সাইফ তার বাবার মতোই কূটবুদ্ধিতে পটু। তবে ছাত্র হিসেবে সে খুব মেধাবী। মেডিকেল এডমিশনে সে সারা দেশের মধ্যে ৩য় হয়। সে সাজিদকে গোপনে গাড়ির মিস্ত্রি বলে ভৎসনা করতো। তার দেখাদেখি কথাটা একালায় চল হয়ে যায়। তাই দুই ভাইয়ের সম্পর্ক হয়ে দাঁড়ায় সাপে-নেউলে। একদিন ক্রিকেট খেলায় সময় সাইফকে আঘাত করে সাজিদ। ফলে তাদের শত্রুতা বাড়াবাড়ি আকার ধারণ করে। সাজিদকে শায়েস্তা করার ছক কষে সাইফ ও তার বাবা লতিফ উকিল। তন্নী নামের একজনকে দিয়ে সাজিদের নামে মামলা করায় লতিফ উকিল। এখানে উল্লেখ্য – সাজিদের আরো এক কাকা ছিল, সে হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করলে তার দাদা তাকে তাজ্য করে। সম্প্রতি তার সেই কাকা কাকী দূর্ঘটনায় মারা যায়। এই সুযোগে তাকে বাড়িতে আনে লতিফ উকিল। মামলা কোর্টে গড়ায়। সাজিদ মীমাংসা করতে চেয়েছিল, কিন্তু তন্নী মামলা লড়তেই উৎসাহী ছিল। কোর্টে দুই পক্ষই সমান সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করলেও সাজিদের মা তন্নীর পক্ষ অবলম্বন করে বলে তন্নীই মামলায় জিতে যায়। সাজিদ তাতে হতভম্ব হয়ে যায়। পরদিনই সাজিদের অর্ধেক সম্পত্তি বুঝে নেই তন্নী। একবাড়িতে থেকেও দুজন শত্রুভাবাপন্ন হয়ে কাটিয়ে দেয় অনেকদিন। কিন্তু সাজিদের মায়ের বিচক্ষণতায় শেষমেশ মিল হয় ওদের। সাজিদ ও তন্নী খুবই কাছের বন্ধু হয়ে যায়। তবে সাজিদের মা এই সম্পর্কটাকে বিয়েতে গড়াতে চাইলে তন্নী বিষয়টা ভালো ভাবে গ্রহণ করে না। সাজিদকে সে লোভী ভাবে। এরই জেরে স্ট্রোক করে মারা যায় সাজিদের মা। সাজিদের মায়ের মৃত্যুর জন্য তন্নীর সাথে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে বাড়ি ও সম্পত্তি বিক্রি করে শহরে চলে যায় সাজিদ। এই সুযোগে সাইফ তন্নীর কাছে আসার সুযোগ পেয়ে যায়। বছর পাঁচেক পরে সাজিদ ব্যবসায় অনেক উন্নতি করে। কিন্তু সে কোনোভাবেই তন্নীকে ভুলতে পারে না। তাই সে তন্নীকে দেখতে আসে। কিন্তু ততদিনে তন্নী ও সাইফ তার চেয়েও বেশি উন্নতি করে ফেলে। সাজিদ জানতে পারে যে, লতিফ উকিল ডাক্তার সাইফের সাথে তন্নীর বিয়ে ঠিক করেছে। হতাশ ও বিপর্যস্ত সাজিদ বাইকে ফিরার পথে এক্সিডেন্ট করে। প্রাণে বেঁচে গেলেও, তার পা কেটে বাদ দিতে হয়। তবে সাজিদের এই দুর্দিনে তন্নী পাশে এসে দাঁড়ায়। অবশেষে তারা এক হবার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। কিন্তু তখনই স্বার্থের লোভ সাজিদকে বাঁচতে দেয় না। তাকে হত্যা করা হয়। কিন্তু কে করে সেই হত্যা? কেন করে? তা যেন রহস্যই রয়ে যায়। লেখক প্রথমে রসবোধযুক্ত গল্পে পাঠককে হাসির খোরাক দেয়েছি, মাঝখানে সম্পর্কের সংঘাতে পাঠককে ভাবাতে বাধ্য করেছে। শেষের ট্রাজেডি দিয়ে পাঠকের চোখে জল ঝরিয়েছেন। তন্ময় সাত্ত্বিকের সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় এ উপন্যাসটি আপনার হৃদয় কেড়ে নেবে, সন্দেহ নেই।

Author Info

তন্ময় সাত্ত্বিক

মোহাম্মদ তন্ময় সাত্ত্বিক ১৯৯১ সালের ৬ নভেম্বর ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার লেখালেখির সূচনা হয় ১৯৯৯ সালে, যখন তিনি তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। কিন্তু পরিবারে লেখালেখি ছিল তার জন্য নিষিদ্ধ কর্ম। তিনি লুকিয়ে লিখতেন। ২০০৮ সালের ১ নভেম্বর পরিবারের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগ দেন ইঞ্জিনিয়ারিং মেকানিক হিসেবে। তখন তিনি কেবল উচ্চমাধ্যমিকে পড়ছেন। উদ্দেশ্য জরাজীর্ণ পরিবারের হাল ধরা, আর নিজের লেখালেখির পথটাও সুগম করা। বাস্তবে তিনি পরিবারকে টেনে তুলতে পারলেও, নিজেকে যেনো আরো গভীর গিরিখাদে ফেলে দেন। ডিফেন্সের কঠিন জীবনে তার লেখাপড়া ও লেখালেখি হয়ে পড়ে আরো কঠিন। তবে তিনি নিজেকে পরাজিত হতে দেননি। শত প্রতিকুলতার মাঝেও তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পূর্ণ করেছেন। স্বপ্নবাজ মানুষটির কল্পনার জগৎ যথেষ্ঠ শক্তিশালী। বাস্তব জীবনের হাসি-কান্না, রোমাঞ্চ বা ট্রাজেডিগুলোকে কল্পনার রঙে রাঙিয়ে আকাঙ্ক্ষায় পরিপূর্ণ গল্প বানাতে তিনি বেশ পটু। পাবনী (২০১২), মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (২০১৫), এবং রাঙা রাখির ডোর (২০১৬)- এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত ৩টি উপন্যাস। দর্শকপ্রিয় নাটক “অবুঝ দিনের গল্প” (২০১৯)-এর রচিয়তা তিনি। “নিশীথ শ্রাবণধারা” তার প্রথম গল্পগ্রন্থ। এছাড়া “বেরসিক জীবন” নামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় আছে।

Reviews

There are no reviews yet.


Be the first to review “মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার”

মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার
Sell Price: TK. 150
TK. 200, 25% Discount, Save Money 50 TK.
You've just added this product to the cart: