20%

ষাট দশকের ছড়াসমগ্র

Printed Price: TK. 300
Sell Price: TK. 240
20% Discount, Save Money 60 TK.
Category:
Summary: ষাট দশকের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে লেখা আবু সালেহর ১০১০টি ছড়ার এক অনবদ্য সংকলন ষাট দশকের ছড়াসমগ্র।সমাজ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় ষাটের দশক জুড়ে কার্যকরভাবে শুরু হয়েছিল যে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, শ্রেণীবৈষম্য Read More...
দ্রুত ডেলিভারি
ক্যাশ অন ডেলিভারি
৩দিন ইজি রিটার্ন

Book Details

Titleষাট দশকের ছড়াসমগ্র
Authorআবু সালেহ
Publisherআগামী প্রকাশনী
Category
ISBN9844018617
Edition1st Published, 2005
Number Of Page320
Countryবাংলাদেশ
Languageবাংলা
Cover Typeহার্ড কভার

Book Description

ষাট দশকের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে লেখা আবু সালেহর ১০১০টি ছড়ার এক অনবদ্য সংকলন ষাট দশকের ছড়াসমগ্র। সমাজ পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষায় ষাটের দশক জুড়ে কার্যকরভাবে শুরু হয়েছিল যে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন, শ্রেণীবৈষম্য নিপাত করতে যে শ্রেণি খতম অভিযান, স্বাধিকার  থেকে স্বাধীনতার যে আন্দোলন, সার্বিক যুদ্ধের জন্য জনযুদ্ধের যে প্রস্তুতি- তা এক সময় স্বৈরশাসক আইয়ুবের পতনের মাধ্যমে মহাগণঅভ্যুত্থানে পরিণত হয়-যা ‘উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান’ নামে ইতিহাসে এক অধ্যায় হিসেবে জায়গা করে নেয়। ছড়াকার আবু সালেহ সমসাময়িকালে সারাদেশে পত্রপত্রিকায়, মঞ্চে, পল্টনের সমাবেশে অজস্র ছড়া পরিবেশনের মাধ্যমে নিরন্তর সংগ্রামী ভূমিকা পালন করেছিলেন। ষাট দশকের ছড়াসমগ্র নিঃসন্দেহে ষাট দশকের এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে আদৃত হবে।

Author Info

আবু সালেহ

ছড়াকার ও সাংবাদিক আবু সালেহ ১৯৪৮ সালের ২২শে জুলাই মাগুরার দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সাল থেকে সাংবাদিকতা শুরু। ছড়া লেখা শুরু করেন ষাটের দশকের শুরু থেকে। প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় রমনা মুকুল ফৌজের দেয়াল পত্রিকায়, ১৯৫৪ সালে। ১৯৬৫ তে ছড়াকে জনপ্রিয় করে তুলতে প্রচলিত আঙ্গিক ও উপস্থাপনা সমাজ সচেতনতা এবং তৎকালীন স্বৈরাচারী আইয়ূব বিরোধী আন্দোলনমুখী করে তোলেন। ছড়াকে বক্তব্য প্রধান করা হয়। সমাজ বদল ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে শক্তিশালী হাতিয়ার রূপে গড়ে তোলেন। এই নবতর আঙ্গিকের ছড়াকে সকল শ্রেণী, পেশার মানুষের মধ্যে প্রভাব বিস্তারের লক্ষ্যে একটি ছড়াকার বন্ধু গোষ্ঠী গড়ে তোলার পিছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।ছড়ায় সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ স্বৈরাচার বিরোধিতা ইত্যাদি কারণে তৎকালীন পুলিশ ও সরকারী প্রশাসন যন্ত্রের শিকার হন হুলিয়া প্রাপ্ত হন। ১৯৬২ থেকে ৭০ সাল পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে সরাসরি অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। বি এন আর , পাকিস্তান কাউন্সিল এবং ফিল্ম সেন্সর বোর্ডে বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচীর সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর রাজনৈতিক সহকারী আবু সালেহ ষাটের দশকের শেষ ভাগে শ্রেণী সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। সকল আন্দোলন, সংগ্রামে আবু সালেহর ছড়া প্রভাব বিস্তার করে। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা প্রায় একশ। তিনি ১৯৬৭ সাল থেকে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত আছেন। ইত্তেহাদ, দৈনিক দেশ, হক কথা, দৈনিক খবর, জনতা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থাসহ আরো অনেক সংবাদপত্রে তিনি কাজ করেছেন। ১৯৮০ সালের ২৩ শে মে খন্দকার মোশতাক আহমেদের জনসভায় বোমা হামলায় আহত হন। তিনি ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংবাদিকতার দায়িত্ব পালনকালে তিনি বহুবার পুলিশি এবং রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বাংলা মোটরে স্বৈরাচারী এরশাদের পেটোয়া বাহিনী তার হাতের কব্জি এবং পাঁজরের হাড় ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া তার লেখা রিপোর্ট দেশে নানা সময়ে আলোড়ন তৈরি করে তার ভিতরে “দেশে কোন গাধা” নেই এই সংবাদে দেশের মানুষের ভিতরে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল।এছাড়া তাঁর লেখা পল্টনের ছড়া “ ধরা যাবে না ছোঁয়া যাবে না বলা যাবে না কথা রক্ত দিয়ে পেলাম শালার আজব স্বাধীনতা” স্বাধীনতার পর পর ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করে। রাজনীতিতে আসা স্কুলে থাকা অবস্থায়। কুষ্টিয়া মুসলিম স্কুলে থাকা অবস্থাতে ঐ স্কুলের স্কুল ক্যাপ্টেন হিসাবে দায়িত্ব পালন করার সময় তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। কমরেড হক, কমরেড তোহার সান্নিধ্যে তিনি রাজনৈতিক হাতেখড়ি পান। এর পর তিনি বাংলাদেশের কম্যুনিস্ট আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন। ১৯৬৬-৬৭ সালের দিকে তিনি মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সান্নিধ্যে আসেন এবং ভাসানীর একান্ত রাজনৈতিক সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ভাসানীর মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি তার সাথে ছিলেন। এছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় উন্মেষ নামের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলেন আরো কয়েকজনের সাথে।স্বাধীনতার পর উন্মেষের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন । চীনপন্থী চিন্তাধারার রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে তিনি এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ে শ্রেণী সংগ্রামে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন এবং এদেশীয় পাকিস্তানের চাটুকার বুদ্ধিজীবীদের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। তিনি ন্যাপ ভাসানীর কেন্দ্রীয় কমিটির সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগরী কমিটির দায়িত্বশীল পদ লাভ করেন । উল্লেখযোগ্য কয়েকটি পুরস্কারের মধ্যে রয়েছে- # বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার-২০০২, একুশে পদক , ২০০৫,অগ্রণী ব্যাঙ্ক সাহিত্য পুরস্কার,কবিতালাপ সাহিত্য পুরস্কার,লিমেরিক সোসাইটি পুরস্কার,মধুসুধন সাহিত্য পুরস্কার, জসীম উদ্দিন পদক,ত্রয়ী সাহিত্য পুরস্কার,জাতীয় প্রেস ক্লাব সম্মাননা,পারাবার সাহিত্য পদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা,জিয়া পদক,কাজী কাদের নাওয়াজ সাহিত্য পুরস্কার প্রভৃতি । প্রকাশিত বইয়ের মধ্যে রয়েছে- # পল্টনের ছড়া(১৯৭৪),তাড়িং মাড়িং(১৯৭৮)গ্রামের নাম চৌগাছি(১৯৭৮), চিরকালের খোকা,এক বাংলার ছড়া,সেই ছেলেটি ছুটলো (বাংলা একাডেমী),আমার কথা ছড়ার কথা, খুকু যদি হাসে,হাতির পায়ে নূপুর,ধোলাই ছড়া প্রভৃতি। জন্মদিনের দিনটি পারিবারিকভাবে পালন করবেন।

Publisher Info

আগামী প্রকাশনী

আগামী প্রকাশনী বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮৬ সালে ওসমান গণি কর্তৃক এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের হিসেব এ-পর্যন্ত প্রকাশনার প্রকাশিত গ্রন্থসংখ্যা ১৮০০-এর অধিক। ১৯৭১ সালে সংগঠিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে উল্লখেযোগ্য সংখ্যক গ্রন্থ প্রকাশের মাধ্যমে এ-প্রকাশনা পরিচিত হয়ে ওঠে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] প্রকাশনীর বর্তমান স্লোগান, মুক্তিযৃদ্ধ ও মুক্তচেতনা আমাদের প্রকাশনা’।’

Reviews

There are no reviews yet.


Be the first to review “ষাট দশকের ছড়াসমগ্র”

ষাট দশকের ছড়াসমগ্র
Sell Price: TK. 240
TK. 300, 20% Discount, Save Money 60 TK.
You've just added this product to the cart: